আজ প্রখ্যাত রাজনৈতিক ও সাংবাদিক আহমেদুল কবিরের মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৩ সালের ২৪ নভেম্বর কলকাতার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তিনি গণতন্ত্রী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৪৫-৪৬ সালে নির্বাচিত ডাকসুর প্রথম ভিপি।
আহমেদুল কবির ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম মনু মিয়া। বাবার নাম আবু ইউসুফ লুৎফুল কবির। তিনি ছিলেন ঘোড়াশালের জমিদার। তার মায়ের নাম মরহুমা সুফিয়া খাতুন।
আহমেদুল কবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ১৯৪৫-৪৬ সালে ডাকসুর প্রথম সহসভাপতি নির্বাচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় যোগ দেন। তারপর ইস্ট পাকিস্তান ফরেন এক্সচেঞ্জ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করেন।
তিনি ছিলেন পাকিস্তানের ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবং বাংলাদেশের আইএফআইসি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। ১৯৬৫ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রার্থী হিসেবে তিনি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৭৯ সালে নরসিংদী-২ (পলাশ-শিবপুর) নির্বাচনী এলাকা থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে নরসিংদী-২ (পলাশ) নির্বাচনী এলাকা থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান সরকার ‘সংবাদ’ অফিস পুড়িয়ে দেয় এবং আহমদুল কবিরকে গ্রেপ্তার করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক জান্তা সংবাদ প্রকাশের জন্য অনেক প্রলোভন দেখায়; কিন্তু আহমেদুল কবির পত্রিকা প্রকাশ করেননি।
স্বাধীনতার পরপরই তিনি জেল থেকে মুক্তিলাভ করেন এবং সংবাদ পুনঃপ্রকাশ করেন। আহমেদুল কবির ১৯৫৪ সালে সংবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেন এবং ১৯৭২ সালে সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০১ সালে তিনি প্রধান সম্পাদক হন এবং আমৃত্যু এ দায়িত্বে ছিলেন।
তথ্যসূত্র: বাসস
Leave a Reply